পঁচিশে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যখন অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে ঢাকায় গণহত্যা শুরু হয়, ততক্ষণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার একটি অফিশিয়াল ঘোষণা গোপনে বেতারযোগে চট্টগ্রাম পৌঁছে যায়। অখণ্ড পাকিস্তানের নির্বাচিত সরকার গঠনের বৈধ প্রতিনিধির এটিই ছিল প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ঘোষণা। তারই ভিত্তিতে ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস এবং এ বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
তবে ষাটের দশক থেকে বাঙালির মনের অসন্তোষ ও আকাঙ্ক্ষার যে স্ফুরণ শুরু হয়েছিল তার অভিজ্ঞতা যাঁদের রয়েছে, তাঁরা জানেন পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাঙালিদের এই অবস্থান আকস্মিক নয়। ধাপে ধাপেই বাঙালি এই পর্যায়ে এসেছে। আর একাত্তরের মার্চ মাসের প্রথম দিন থেকেই ঢাকা ও সমগ্র প্রদেশে যা ঘটছিল, তাতে একটি জাতির স্বাধীনতার স্পৃহা একটুও ঢাকা ছিল না। সচেতন সবারই জানা ছিল স্বাধীনতা কেবল সময়ের ব্যাপার বা বিষয়টা স্বাধীনতাই নয়, স্বাধীনতা কখন কীভাবে আসবে, সেটিই ছিল সেদিনের প্রশ্ন।