সম্প্রতি একজন সম্পাদক মারা গেলে সকাল থেকেই দেশের অনেক অনলাইন পোর্টাল, দৈনিকের পোর্টাল ভার্সন ও টেলিভিশনে তার মৃত্যুর খবর যাওয়ার পরেও অবিরাম দেশ ও বিদেশ থেকে ফোন আসতে থাকে। তাদের প্রশ্ন, ভদ্রলোক কীভাবে মারা গেলেন তা নয়। তাদের প্রথম প্রশ্ন, খবরটি কি সত্য? যেকোনো সাংবাদিকের জন্য এ শুধু বিব্রতকর নয়, অনেক কষ্টের। কারণ, সংবাদমাধ্যমে কোনো খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেও যখন পাঠক ফোন করে জানতে চায়, ঘটনাটি সত্য কি না? আর এমন প্রশ্নের মুখোমুখি এখন সাংবাদিকদের প্রায়ই হতে হচ্ছে। এবং এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই, সংবাদমাধ্যম অনেকখানি এমনই প্রশ্নের মুখোমুখি।
কেন এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হলো, এর উত্তর খোঁজা একটি দীর্ঘ গবেষণার বিষয়। তবে তারপরেও একজন সাংবাদিক হিসেবে সাধারণ চোখেও অনেক বিষয় দেখতে পাই, আজকের এ অবস্থার জন্য। কেন মানুষ এখন সংবাদমাধ্যমকে শতভাগ বিশ্বাস করে না। অথচ পাকিস্তান আমলেও কোনো কিছু ছাপার অক্ষরে দেখলে সেটাকে বাইবেলের শব্দের মতোই সত্য মনে করত। এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া শুরু হয় স্বাধীনতার পর থেকে। স্বাধীনতার পর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সমর্থিত ‘হক কথা’ এবং জাসদ সমর্থিত ‘গণকণ্ঠ’ই প্রথমে ছাপার অক্ষরে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রকাশ শুরু করে। আর বলা যেতে পারে, এর ভেতর দিয়েই বাংলাদেশের সাংবাদিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে শুরু হয়।