ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের বিরোধিতা করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর মিছিলে ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক আল কাদেরি জয়। আহতদের মধ্যে ১১ নেতাকর্মী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক আল কাদেরি জয় দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকেলে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের ব্যানারে মোদির আগমনের বিরোধিতা করে ঢাবি টিএসসি এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি মোদির কুশপুত্তলিকা নিয়ে শাহবাগ যায়। সেখান থেকে এসে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে সমাবেশ করতে জড়ো হলে ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা চালায়।
করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথম বিদেশ সফর হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। বাঙালির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দুইদিনের সফরে আগামী ২৬ মার্চ ঢাকায় আসছেন তিনি। মোদির এই সফরে ভারতীয়দের রাজনৈতিক স্বার্থ নিয়ে আলোচনা হয়েছে ঢের, কিন্তু এর সঙ্গে দেশটির অর্থনৈতিক স্বার্থও কম নয়।
মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত এবং এর প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির গুরুত্ব তুলে ধরছে মোদির ঢাকা সফর। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার বাংলাদেশ। এ অঞ্চলে ভারতীয়দের সবচেয়ে বেশি পণ্য রফতানিও হয় বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কি সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে আসছেন, নাকি পশ্চিমবঙ্গে যে নির্বাচন হচ্ছে, সেই নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে আসছেন?
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতের পত্রিকা ও আমাদের দেশের পত্রিকায় সেই ধরনের ইঙ্গিতই আমরা পাচ্ছি।’ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে আহত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।