বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে ৪ এমওইউ স্বাক্ষর

বিডি নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২১, ২২:৩০

পর্যটন, স্যানিটেশন, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও রেল ট্রানজিট বিষয়ে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারির উপস্থিতিতে এসব এমওইউ স্বাক্ষর হয়।

পর্যটন সহযোগিতা শীর্ষক এমওইউতে বাংলাদেশের পক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মোকাম্মেল হোসেন এবং নেপালের পক্ষে সংস্কৃতি, পর্যটন ও সিভিল এভিয়েশন সচিব যাদব প্রসাদ কৈরালা সই করেন।

স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি বিষয়ক এমওইউতে বাংলাদেশের পক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মেসবাহুল ইসলাম এবং নেপালের শিল্প, বাণিজ্য ও সরবরাহ সচিব দিনেশ ভট্টারি সই করেন।

বাঙালির বঙ্গবন্ধু দক্ষিণ এশিয়ার পূজনীয় নেতা: নেপালের প্রেসিডেন্ট

নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী বলেছেন, নেতৃত্ব গুণে বাঙালির ‘হৃদয় জয়’ করা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুরো দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের কাছেও ’পূজনীয়’ নেতা হিসাবে বিবেচিত।

সোমবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

নেপালি প্রেসিডেন্ট বলেন, “অনলবর্ষী বক্তা, সংগঠক ও যোদ্ধা হিসাবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন এবং অর্জন করেছিলেন নতুন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য। এ অঞ্চলের মানুষের কাছেও তিনি পূজনীয় নেতা।”

সৌজন্য সাক্ষাতে পরস্পরের প্রশংসায় হাসিনা ও ভাণ্ডারী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী তাকে বর্ণনা করেছেন ‘অনুপ্রেরণাদায়ী’ একজন নেতা হিসেবে; আর শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি নেপালের প্রথম নারী রাষ্ট্রপ্রধানের একজন অনুরাগী।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে দুই নেতার সাক্ষাত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের বিষয়বস্তু সংবাদকর্মীদের বলেন।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন নেপালের রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘আপনি বিশ্বের দারুণ এক অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা।’ আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বলেন, ‘আমি আপনার অনুরাগী।’

নেপালের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সৌজন্য সাক্ষাৎ

নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার দুপুরে তিনি রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নেপালের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে তিনি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীর হাতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্মরক উপহার তুলে দেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে সোমবার সকালে ঢাকা পৌঁছান বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী। বিমানবন্দরে তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নেপালের কোনো প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। সফরে বিদ্যা দেবীর সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রয়েছেন।

বাঙালির উদযাপন মঞ্চে নেপালের প্রেসিডেন্ট

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে সঙ্গী হয়েছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী।

সোমবার ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’ থিমে ষষ্ঠ দিনের আয়োজনে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেবেন নেপালের প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি।

জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী অনুষ্ঠানস্থলে এলে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেপালের রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা

সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি। সোমবার সকাল ১১ টার দিকে শ্রদ্ধা জানান তিনি।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান নেপালের রাষ্ট্রপতি। সেখানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।

নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ঢাকায়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী ঢাকায় পৌঁছেছেন। আজ (সোমবার) সকাল ১০টার দিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে তিনি ঢাকায় এসে পৌঁছান।

বিদ্যা দেবী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী চার্টার্ড বিমানটি ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাদের অভ্যর্থনা জানান। এসময় ২১ বার তোপধ্বনির পর, বিমানবন্দরে নেপালের প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us