বিশ্বে এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। প্রথম শিল্প বিপ্লব শুরু হয় রেল রাস্তা, বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার ও উত্পাদনে যন্ত্রের ব্যবহার এই বিপ্লবের বৈশিষ্ট্য ছিল। দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব শুরু হয় বিদ্যুৎ উত্পাদন দিয়ে। তৃতীয় শিল্প বিপ্লব, যাকে কম্পিউটার বা ডিজিটাল বিপ্লবও বলা যায়। ক্ষুদ্র ও শক্তিশালী সেন্সর, মোবাইল ইন্টারনেট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিং চতুর্থ বিপ্লবের মূল শক্তি।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের গুণগত পার্থক্য আছে, এই বিপ্লবে মেশিনকে বুদ্ধিমান করা হয়েছে। অন্য বিপ্লবে যন্ত্রকে ব্যবহার করেছে মানুষ, আর এ বিপ্লবে যন্ত্র নিজেই নিজেকে চালানোর সক্ষমতা অর্জন করছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে যন্ত্রকে বুদ্ধিমান করা হচ্ছে। মানুষের মস্তিষ্কের চেয়ে যন্ত্রের ধারণক্ষমতা অনেক বেশি এবং প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা অনেক দ্রুত। ইন্টারনেটের কারণে এর কার্যক্রমের আওতা অনেক বিস্তৃতি লাভ করেছে। বাংলাদেশে বসে একটি বুদ্ধিমান কম্পিউটার যেকোনো দেশের একটা যন্ত্রকে আদেশ দিতে পারে, একটা ঘরের তাপমাত্রা মেপে আদেশ দিতে পারে তাপমাত্রা বাড়ানো বা কমানোর।