৪১তম বিসিএস প্রিলি আজ: পৌনে ৫ লাখ পরীক্ষার্থীদেরকে যা যা মানতে হচ্ছে
প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২১, ০৮:৫২
৪১তম বিসিএস পরীক্ষা আগামীকাল শুক্রবার (১৯ মার্চ) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পৌনে পাঁচ লাখ প্রার্থীর এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। করোনার সংক্রমণের হার বাড়ছে, বিসিএস পরীক্ষা হলে আক্রান্তের হার বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করে পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে ১০ প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। হাইকোর্ট সেই রিট খারিজ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিতে পিএসসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
পরীক্ষা কেন্দ্রে কী কী আনা যাবে আর কী কী আনা যাবে না, তা পরীক্ষার্থীদের এক দিন আগে অর্থাৎ আজ বৃহস্পতিবার এসএমএস করে জানিয়ে দিচ্ছে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি)।
পিএসসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরীক্ষার সব প্রস্তুতি তারা গ্রহণ করেছেন। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ জন্য ১১ দফা নির্দেশনাও দিয়েছে পিএসসি। সেগুলো সবাই মানতেই হবে। কোনো কেন্দ্রে যদি কোনো প্রার্থীর তাপমাত্রা বেশি থাকে, তাহলে তাঁকে অন্য হলে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে। এ ছাড়া চিকিৎসকও পরীক্ষাকেন্দ্র থাকবেন।
আগামীকাল শুক্রবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেবে সরকারি কর্ম কমিশন পিএসসি। এই বিসিএসে রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন। এতে অংশ নেওয়ার কথা আছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার প্রার্থীর। পিএসসি সূত্র জানিয়েছে, কোনো কেন্দ্রে যদি কোনো প্রার্থীর তাপমাত্রা বেশি থাকে, তাহলে তাঁকে অন্য হলে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে।
চাকরিপ্রার্থীদের একটি অংশ পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানালেও সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) জানিয়েছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৯ মার্চেই ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে। এখন পর্যন্ত পরীক্ষা পেছানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪০তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা শেষে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে মৌখিক পরীক্ষা। মোট চাকরিপ্রার্থী ১০ হাজার ৯৬৪ জন। পিএসসি জানিয়েছে, এখন যেভাবে কাজটি চলছে, সেভাবে চললে মৌখিক পরীক্ষা শেষ করে আগামী জুনে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা সম্ভব।
প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষ করে এই বিসিএসে নিয়োগের জন্য প্রার্থী নির্বাচন করতেই প্রায় তিন বছর লেগে যাচ্ছে। এরপর নির্বাচিত প্রার্থীদের পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে যাচাই (ভেরিফিকেশন), স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করে চাকরির প্রজ্ঞাপন জারি হতে কমপক্ষে আরও এক বছর লাগবে। অর্থাৎ বিসিএসে চাকরি পেতে একজন তরুণকে কমপক্ষে চার বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে।