হেফাজতে ইসলামের মামুনুল হককে নিয়ে অশালীন পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ঝুমন দাস আপনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই খবরটি পড়ে মনে পড়লো চার বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে কী ঘটেছিল। রসরাজ দাস নামের এক লেখাপড়া-না-জানা জেলের বিরুদ্ধে ইসলামবিদ্বেষী পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ এনে হিন্দুদের মন্দির এবং বাড়িঘর ভেঙে ফেলেছিল ক্ষুব্ধ মুসলমানেরা। রসরাজ দাসের পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট করা সম্ভব ছিল না, তার কোনও ফেসবুক আইডিও ছিল না।
মুসলমান জনগণকে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ক্রুদ্ধ ক্ষিপ্ত উন্মত্ত করার জন্য এই কাজগুলো, প্রমাণ পাওয়া গেছে, মুসলমানরাই করেছে। নির্দোষ রসরাজ দাসকে কারাগারে কাটাতে হয়েছে কয়েক মাস, বেরিয়ে আসার পর তাঁর নিরাপত্তার অভাব দেখা দিয়েছিল, দেবেই তো, উত্তেজিত মুসলমানরা এক পায়ে খাঁড়া ছিল তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলার জন্য। কে আর খতিয়ে দেখে কর্মটি আসলে কে করেছে। জানি না রসরাজ দাস এখন কেমন আছেন, বেঁচে আছেন কি না। বেঁচে থাকলে নাসিরনগরে আর বাস করতে পারছেন কি না।