অং সান সু চির পতনে বাংলাদেশে অনেকেই খুশি হয়েছেন। এর একটা কারণ পরিষ্কার: গত কয়েক বছরে তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের মনে অনেক ক্ষোভ জমেছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর যে বর্বরতা চলেছে, তার দায় হয়তো দেশটির সেনাবাহিনীর, কিন্তু সেই দেশের প্রধান রাজনৈতিক নেতা হিসেবে সামনে হাজির ছিলেন সু চি। এবং বাংলাদেশের মানুষ এটাও দেখেছে যে তিনি নির্লজ্জভাবে এই অন্যায়-অবিচারকে সমর্থন করে গেছেন।
রোহিঙ্গাদের ওপর ঘটে যাওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার বিচারকে নাকচ করতে তিনি নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে হাজির হয়েছিলেন। অভিযুক্ত সেনাবাহিনীর পক্ষে তিনি সাফাই গেয়েছেন। রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে তাঁর মুখে অনেক আপত্তিকর কথাও শোনা গেছে। এই জনগোষ্ঠীর প্রতি তাঁর বিদ্বেষ ও বর্ণবাদমূলক আচরণ এবং অবস্থান কোনো লুকানো বিষয় ছিল না।