ব্যাংকের ঋণ যখন আটকে যায়, তখন ব্যাংকের আসল ঋণটা সুদ/মুনাফাসহ আদায় করতে ব্যাংকারের চেষ্টা থাকে। চলে আলাপ-আলোচনা। এই আলাপ-আলোচনায় প্রায় সব ঋণের ক্ষেত্রে গ্রাহকেরা একটি শর্ত জুড়ে দেন। আর তা হলো সুদ মওকুফ। গ্রাহক মনে করেন, ব্যাংকার সহযোগিতা করতে চাইলেই সুদ মওকুফ হয়ে যায়। ব্যাংকের মুনাফায় আঘাত আসে বলে ব্যাংকার সুদ মওকুফ করতে চান না। তবে পরিচালনা পর্ষদ চাইলেই সুদ মওকুফ করতে পারে।
ব্যাংক যে সুদ মওকুফ করে না, তা নয়। তবে ঋণের অবস্থার ওপর তা অনেকটা নির্ভর করে। একেক পর্যায়ে একেক ধরনের বিবেচনা সামনে চলে আসে। যেমন: গ্রাহকের মৃত্যু, সিকিউরিটিবিহীন ঋণ, অপর্যাপ্ত সিকিউরিটির ঋণ, দীর্ঘদিন যাবৎ শ্রেণিকৃত, দীর্ঘদিনের মামলাধীন, বারবার চেষ্টার পরও নিলামে সিকিউরিটি বিক্রিতে ক্রেতার অভাব, ত্রুটিপূর্ণ ডকুমেন্টেশন ইত্যাদি। কিন্তু কোন পর্যায়ে কতটুকু সুদ মওকুফ করা যাবে, তার কোনো বিধিবিধান বর্তমানে প্রচলিত নেই।