জাতীয় আয় বৃদ্ধির হারে আমরা সবাইকে টপকে যাব কি না, কিংবা কোভিডের মোকাবিলায় আমরাই সবার আগে দৌড়চ্ছি কি না, বা সামনের দু’বছরে অর্থনীতিতে ঠিক কী হতে চলেছে, এ সব ছাপিয়ে মধ্যবিত্তের আশঙ্কা এবং এক অনিশ্চিত আর্থিক ভবিষ্যতের সমস্যা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এক-এক করে কারণগুলো দু’এক কথায় বলার চেষ্টা করি।
ব্যাঙ্কে সুদের হার কমেছে ভীষণ ভাবে। এই অতিমারির সময় দেশে প্রচুর টাকা ঢুকেছে— রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ার টইটম্বুর, ফলে টাকার জোগানের অভাব নেই। তাই সুদের উপর ঊর্ধ্বমুখী চাপও নেই। এক বিশাল জনসংখ্যার স্থির আয়ের পেনশনভোগী, জীবনের সব টাকাকড়ি ব্যাঙ্কে মজুত রাখা মানুষজনের আয় ক্রমাগত কমেছে বেশ কিছু দিন ধরে। এর উপরে চাপানো হয়েছে সরকারি ব্যাঙ্ককে বার বার ‘খারাপ’ আখ্যা দিয়ে সেগুলো বিক্রি করার বা বেসরকারি মালিকানায় হস্তান্তর করার ভয় সৃষ্টি।