আমাদের দেশে মায়ের বন্দনা করার প্রচলন জানামতে বহুকাল থেকেই। মায়ের নামে বাড়ির বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে আমরা একধরনের আত্মতৃপ্তি পাই। আমরা দেখেছি, রিকশা ও বাসের পেছনে পরিবহন আর্ট ‘মায়ের দোয়া’। মায়ের নামে বাণিজ্যিক সিনেমা বানিয়ে বাজিমাত করা, মুখে যখন–তখন মায়ের প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধার কথা, এসব প্রতিনিয়ত দেখা অত্যন্ত পরিচিত কার্যকলাপ।
পক্ষান্তরে মেয়েরা যদিও মায়ের জাত, সেই মেয়েদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন, নারীবিদ্বেষী রসাল গল্প, কৌতুক আমাদের এই সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
আমরা শুনি ‘অভাগার গরু মরে; ভাগ্যবানের বউ মরে’ ধরনের কৌতুক। নাটক, সিনেমায় কোনো একটি ছেলে সাহস করে কোনো কাজ করতে না পারলে তাকে আমরা মেয়ে বলে হেয় করি। বলি, ‘যাও মেয়েদের মতো চুড়ি পরে থাকো।’ এ ধরনের সংলাপ শুনে ও দেখে আমরা অভ্যস্ত। নারীর দ্বারা সংসারের যেসব নানাবিধ দায়িত্ব সচরাচর পালিত হয় সেগুলো এবং সন্তান লালনপালনের মতো কাজকে আমরা অহরহই সহজ কাজ মনে করি, তুচ্ছ–তাচ্ছিল্যের চোখে দেখি। পুরুষের চরিত্রের মধ্যে সহনশীলতা, সহমর্মিতাকে অনেকেই চারিত্রিক দুর্বলতা মনে করে।