কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠেই শোভা রানীকে (৫২) কাজে ছুটতে হয়। প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে দাড়ছিড়া নদীর পাড়ে এসে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগরের মোহনার দিকে তাকিয়ে থাকেন তিনি। সাগর থেকে চিংড়ি মাছের ট্রলার ঘাটে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু হয়ে যায় তাঁর। ট্রলার থেকে পুরুষ শ্রমিকেরা ‘টুকরি’ বোঝাই করে চিংড়ি মাছ তীরে এনে ফেলে দেওয়ার পর নারীরা মাছের মাথা ফেলে দিয়ে স্তূপ করতে থাকেন। এভাবে মাছ বাছাই করে দিন শেষে মজুরি নিয়ে বাড়ি ফেরেন তাঁরা।