১৯৭১ সালে ৭ মার্চ শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের দৃষ্টি ছিল বঙ্গবন্ধুর ওপর। সারা বিশ্ব সেদিন আবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করল একটি ভাষণ একটি জাতিকে কতটুকু আন্দোলিত করতে পারে। মানুষের মধ্যে কেমন তীব্র প্রণোদনা সৃষ্টি করতে পারে। সংগ্রামরত মানুষকে সেদিন এই ভাষণ স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছিল। বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যটি এ ভাষণের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
একটি ভাষণ একটি জাতির ইতিহাসে বড় রকমের বাঁক পরিবর্তনের সূচক হতে পারে এমন দৃষ্টান্ত বিরল। অনেকে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে আব্রাহাম লিঙ্কনের গেটিসবার্গ অ্যাড্রেসের সঙ্গে তুলনা করে। কিন্তু অন্তত দুটি কারণে এই তুলনা অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিক। এক. আব্রাহাম লিঙ্কনের ভাষণটি ছিল লিখিত আর বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল অলিখিত, স্বতঃস্ফূর্ত। দুই. তাত্ক্ষণিক ও সুদূরপ্রসারী প্রভাবের বিচারে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল অনন্য।