গত শতাব্দীর ষাটের দশকের শুরুতেও কমলাপুর মহল্লাটি সবুজভরা গ্রামের মতোই, রোমান্টিক মনকে খুব টানে। একদিকে এর আধা শহুরে রূপ সীমিত পরিসরে, সে পরিসরের বাইরে ফুলকপি-বাঁধাকপি, লাউ-ডাঁটাসহ সবজি চাষের শ্যামল সমারোহ, মাঝেমধ্যে দু-চারটে কাঁচা-পাকা বাড়ি। আমি সবে এখানে আশ্রয় নিয়েছি, এর রূপে মুগ্ধ।
কিন্তু সামরিক শাসন যেমন অনেক কিছু ভাঙে—বাঞ্ছিত বা অবাঞ্ছিত তাড়নায়, তেমনি আইয়ুব খাঁর সামরিক শাসনে বাংলাপ্রেমী গভর্নর লে. জে. আযম খানের উন্নয়ন পরিকল্পনায় এসে পড়ে শহরের বাইরে সুদর্শন রেলস্টেশনের যাত্রা—কমলাপুর হয়ে ওঠে সে যাত্রার লক্ষ্য। ছোট্ট মহল্লা—স্থানান্তরে অসুবিধা কী? তালতলায় তাকে নির্বাসনে বা নয়া অবস্থানে পাঠানো যায়। উত্তর-পশ্চিমে কবি জসীমউদ্দীনের বাড়িসহ মহল্লার অংশবিশেষ ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যায়।