কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি আবার আলোচনায় এসেছে। দাবি উঠেছে আইনটি বাতিলের। অবশ্য ২০১৮ সালে আইনটি প্রণয়নের আগে-পরে সাংবাদিক, সুশীল সমাজ গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবল প্রতিবাদ হয়েছিল। সাংবাদিকদের সবগুলো সংগঠন আইনটি এভাবে প্রণয়ন না করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সম্পাদক পরিষদ সুনির্দিষ্ট কয়েকটি ধারার ব্যাপারে তাদের মতামত দিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা তাদের কথা শুনেছেন, কিন্তু আমলে নেননি। সব মহলের প্রতিবাদ সত্বেও আইনটি পাস হয়ে গেছে। তখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা আশ্বাস দিয়েছিলেন, আইন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অন্তরায় হবে না, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না। কিন্তু তারা তাদের আশ্বাস রাখেননি, বরং সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এখন সাংবাদিকতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় অন্তরায়।