সময়টা ১৯৮৪ সাল। বছরটা লিপ ইয়ার ছিল। সঙ্গত কারণেই সে বছরের ফেব্রুয়ারি মাস ২৯ দিনে ছিল। ওইদিনেই স্বৈরশাসকের গুণ্ডাবাহিনীর ছুরিকাঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র, বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনের অগ্রদূত কমরেড তাজুল ইসলাম।
ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। ১ মার্চকেই ‘তাজুল দিবস’ হিসেবে পালন করেন তার সহযোদ্ধারা।
কালো বুটের পদপিষ্টে তখন বাংলাদেশ ক্ষত বিক্ষত । কালের চাকাকে উল্টে দিয়ে বিশ্বাসঘাতক মোশতাক চক্র জেনারেল জিয়ার সহায়তায় ক্ষমতা দখল করে। পৌনঃপুনিক সামরিক শাসনের যাঁতাকলে আটকে যায় বাংলাদেশ। বিপন্ন হয় আমাদের স্বাধীনতার চেতনা, মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ।