প্রকৃতির নিয়মেই আজকের একটি শিশু ভবিষ্যতে একজন নিখুঁত মানুষে পরিণত হবে। সে তার ওপর বর্তিত দায়িত্ব নেবে ও তা পালন করবে এবং সমাজে তার অবস্থানকে প্রতিষ্ঠা করবে। যে শিশুটি আজ জন্মগ্রহণ করল, সে একদিন মানবিক গুণাবলির অধিকারী হয়ে জাতিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে এবং মানবকল্যাণে মূল্যবান অবদান রাখবে। এ কারণেই শিশুদের জাতির ভবিষ্যৎ বলা হয়। তাই শিশুদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সঠিক দিকনির্দেশনার গুরুত্ব অপরিসীম। আর এ ক্ষেত্রে শিশুদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তাদের আত্মবিশ্বাসী ও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা।
একটি শিশুকে আত্মবিশ্বাসী এবং আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার জন্য মূল দায়িত্ব মা-বাবা এবং শিক্ষকদেরই নিতে হবে। তবে তাদের সহপাঠী এবং প্রতিবেশীদের প্রতি তাদের আচরণ, মিথস্ক্রিয়া ইত্যাদিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
আমরা জানি আত্মবিশ্বাস সাফল্যের সড়ক তৈরি করে। আত্মবিশ্বাস একজন ব্যক্তিকে বিশ্বের যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার ক্ষমতা অর্জন করতে সহায়তা করে। এটা সত্য যে আত্মবিশ্বাসকে পরিচর্যা ও অনুশীলনের মাধ্যমে বিকশিত এবং উন্নত করা যায়। এ ক্ষেত্রে একটি শিশুর অবস্থান বা অনুভূতি কোনো বিষয় নয়। মা-বাবারা তাদের সন্তানদের অনুশীলন করার এবং দক্ষতা অর্জনের সুযোগ দিয়ে আত্মবিশ্বাসের উন্নয়নে সহায়তা করতে পারেন। শিশুরা ভুল করবে, তারা অকৃতকার্য হবে; তবে তারা প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই শিখবে। নিজেদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য শিশুদের অনুপ্রাণিত করা দরকার। আর এ ক্ষেত্রে মা-বাবাই তাদের সন্তানদের সক্ষমতাকে সবচেয়ে বেশি বোঝে।