কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারের একই সেলে আটক থাকার সময় হাজতির হাতে ঘুমন্ত অবস্থায় আব্দুল হাই (২৭) নামের অন্য এক হাজতি নিহতের ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি পেয়েছে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। গত ৯ই ফেব্রুয়ারি ভোররাতে ঘটনার সময় কারাবিধি লঙ্ঘন করে জেলার নাশির আহমেদ কোয়ার্টারে অবস্থান করছিলেন। মুমূর্ষু অবস্থায় হাজতি আব্দুল হাইকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর সময় জেল সুপার মো. বজলুর রশীদ এবং জেলার নাশির আহমেদ কেউই তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতালে যাননি। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের আলামতসমূহ সংরক্ষণ করা হয়নি। এমনকি জেল কোড অনুযায়ী প্রতিটি সেলে একজন আসামি থাকার কথা থাকলেও ১১নং সেলটিতে ৬ জনকে একসঙ্গে রাখা হয়েছিল। অন্যদিকে সেলের দরজার যে কাঠ ভেঙে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে সেই দরজাটি বিভিন্ন জাতের খণ্ড খণ্ড কাঠ দিয়ে তৈরি ছিল। বাথরুমের দরজার কাঠ ভাঙার শব্দ এবং হাজতি আব্দুল হাই ও মো. জাহাঙ্গীরকে মারধর করার ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে সেলটিতে ডিউটিরত কারারক্ষী খোকন হোসেনের নজরে আসার কথা থাকলেও তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদে এ ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি কারারক্ষী খোকন হোসেন। এ ছাড়া সেল এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সেল কক্ষে সংঘটিত ঘটনার সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ফলে সংশ্লিষ্ট আলামত, ফরেনসিক রিপোর্ট, মৃতের ভিসেরা ও ডিএনএ রিপোর্ট এবং দায়েরকৃত মামলাটি অধিকতর তদন্তে প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটিত হবে বলে তদন্ত কমিটি মতামত দিয়েছেন।