সাধারণত অর্থসংকটে বা বিপদে পড়া গ্রাহকের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে তার বিপরীতে চড়া সুদে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ঋণ দেওয়া, আবার সুদসহ ঋণ পরিশোধের পর ওই গ্রাহকের স্বর্ণালংকার ফেরত দেওয়া, এরই নাম বন্ধকি ব্যবসা। দেশের বিভিন্ন স্থানেই চুপচাপ ও নীরবে এ ব্যবসা চলে। এ ব্যবসার অন্যতম কেন্দ্র হলো রাজধানীর তাঁতীবাজার, যেখানে কয়েক শ বছর ধরেই চলছে ব্যবসাটি। উচ্চ সুদ ও বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও বহুকাল ধরেই চলে আসছে এ ব্যবসা। দীর্ঘকাল ধরে নীরবে চলে আসা এ ব্যবসা করোনায় একেবারে চুপসে গেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে তাঁতীবাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনায় অন্য সব ব্যবসার মতো বন্ধকি ব্যবসাও প্রথম তিন মাস বন্ধ ছিল। এরপর যখন দোকান খোলা হয়, তখন বন্ধকি ব্যবসায়ীরা ভেবেছিলেন করোনার কারণে অর্থ সংকটে পড়া মানুষের কারণে তাঁদের ব্যবসা বাড়বে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি, বরং ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। আগে যাঁরা ঋণ নিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না।