শীতের সবজি কপি এখন কৃষকের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক কষ্ট আর অর্থ বিনিয়োগ করে ফলানো ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই তাদের। কপির বড় কোনো খরিদ্দার নেই। নিজেরাও বাজারজাত করতে পারছেন না। বিক্রি করে যা টাকা হচ্ছে তা দিয়ে বস্তার খরচই উঠছে না। শ্রমিক খরচ, পরিবহন খরচ, জল খাবার সবই ঘর থেকে দিতে হচ্ছে। তাই জমিতেই পচে পচে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের অর্থ আর ঘাম ঝরা এই সবজি।
সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের কৃষক আবু বক্কর জানান, তার তিন বিঘা জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি রয়েছে। ফলনও হয়েছে খুব ভাল। কয়েকদিন আগে এক ব্যবসায়ী তার সবচেয়ে ভালো এক বিঘা জমির ফুল কপির দাম দিতে চেয়েছেন মাত্র এক হাজার টাকা। দাম শুনে তিনি নিজেই লজ্জায় পড়ে যান।