শুকনা মৌসুমে নদী-খালে-বিলে পানি কম থাকায় বৈদ্যুতিক মোটরে মাটির নিচ থেকে পানি তুলে সেচ দেওয়া হয় কৃষিজমিতে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সেচ মৌসুম। ফলে মৌসুমের শুরু থেকেই বিদ্যুতের অতিরিক্ত চাহিদা সৃষ্টি হবে। তবে এই মৌসুমে গ্যাস সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন চাহিদার অর্ধেক গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। সরবরাহ বাড়াতে হলে অন্তত আরও ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে হবে। এক সঙ্গে এত বিপুল পরিমার গ্যাস সরবরাহ করা প্রায় অসম্ভব বিষয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে শীত শীত ভাব কাটতে থাকে। মার্চ থেকে গরম পড়ে যায়। সে কারণে বাড়তে শুরু করে বিদ্যুতের চাহিদা। জুন-জুলাই মাসে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা সৃষ্টি হয়। তবে মে মাস পর্যন্ত থাকে সেচের বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদা। একইসঙ্গে সেচ এবং গ্রীষ্মের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। এই সময় জ্বালানির সরবরাহ ঠিক মতো না পেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বোচ্চ পরিমাণে ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।