‘বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন ঝুড়ি’ —বিশ্বের মানচিত্রে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। বাংলাদেশকে নিয়ে অর্থনীতিবিদ জাস্ট ফাল্যান্ড ও জে আর পার্কিনসনের মন্তব্য ছিল, ‘যদি বাংলাদেশ কখনও উন্নয়ন করতে পারে, তবে পৃথিবীর কোনও দেশই উন্নয়নে বাদ থাকবে না’।
তবে বাস্তবতা হচ্ছে সেই বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সেই বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্য রফতানি করে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষিজমি কমতে থাকাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরি প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে সেই বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। ধান, গম ও ভুট্টায় বিশ্বের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে ক্রমেই এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশের এখন মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপি’তে কৃষি খাতের অবদান ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। খুব বেশি সময় নয়, স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে এই বাংলাদেশ।