পর্দায় নুর হয়ে ওঠা প্রসঙ্গে ফ্রিদা বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একজন অন্য রকম “হিরোইন” তিনি। অহিংসায় বিশ্বাস করতেন। কখনো অস্ত্র তুলে নেননি। তাঁর বাবা ইনায়েত খান ছিলেন নামকরা সংগীতজ্ঞ আর সুফি। আর নুর কাজ করেছেন ব্রিটিশ গুপ্তচর হিসেবে। নোরা বেকার ছদ্মনামে ফ্রান্সে বেতার অপারেটর হিসেবে কাজ নিয়েছিলেন টিপু সুলতানের এই বংশধর। পরে যুদ্ধক্ষেত্রে ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতা আর ফরাসি ভাষায় পারদর্শিতার জন্য ২৯ বছর বয়সে তাঁকে ফ্রান্সের গুপ্তচর হিসেবেও নিয়োগ দেওয়া হয়। ধরা পড়ার পর গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দ্যখো কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে মাত্র ৩০ বছর বয়সে মেরে ফেলা হয় তাঁকে। এই রহস্যময়, দুর্দান্ত নারীকে পর্দায় নতুন করে জন্ম দেওয়া আমার জন্য জীবনের দারুণ এক সুযোগ। আমি তার ষোল আনা সদ্ব্যবহার করতে চাই।’