পূজার ছলে অটুট বিস্মরণের ধারা

আনন্দবাজার (ভারত) প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৫:০৮

কখনও ‘মন কি বাত’-এ রবিচ্ছায়া। বণিকসভায় প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাষণে গীতাঞ্জলির পংক্তি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতির নামে টুইট-উদ্ধৃতিতে গুলিয়ে গিয়েছে বিশ্বকবির জন্মস্থানও। এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বোলপুরে আবাহনের ফ্লেক্সে অমিত শাহের ছবির নীচে ঠাঁই হয়েছে রবি ঠাকুরের। পর পর ঘটনাগুলোর পিছনে ২০২১এর ভোটের পদধ্বনি নিয়ে দ্বিমত নেই জনমানসে। কিন্তু এই পুজোর হিড়িকের পিছনে বরণীয় মনীষীদের নিয়ে অতিভক্তিতে খেলো করার প্রবণতাও সমান দায়ী। রবিবার শাহের বোলপুর সফরেও এরই ধারাবাহিকতা দেখছেন ইতিহাসবিদেরা।

“ভোট এলে এমনটা ঘটবেই ভেবে ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকি। রবীন্দ্রনাথ বা নেতাজি, বিবেকানন্দকে নিয়ে বাংলায় টানাটানি চলবে, এটা দস্তুর। কিন্তু এর পিছনে মনীষীদের অতিমানব ভেবে নেওয়ার মানসিকতাকেই রাজনীতিবিদেরা সুকৌশল ইন্ধন জোগান”, বলছিলেন ইতিহাসবিদ তথা প্রাক্তন সাংসদ সুগত বসু। এবং কোনও দলের ভূমিকাই এ ক্ষেত্রে ঠিক ত্রুটিমুক্ত নয় বলে তিনি মনে করেন। ইতিহাসবিদ রজতকান্ত রায়ের মতে, ‘‘গাঁধীর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার সময় থেকেই এই নেতাদের দিকে তাকিয়ে থাকা ছিল। পরে স্বাধীনোত্তর দেশের প্রথম ভোট থেকেই কিছু মনীষীর মুখ রাজনীতিতে ব্যবহার শুরু হয়েছে। গাঁধী কিন্তু মহাত্মা শুনতে ভালবাসতেন না। রবীন্দ্রনাথের পছন্দ ছিল না গুরুদেব সম্ভাষণ। কিন্তু মনীষীদের নিয়ে মাতামাতির অভ্যাস সব সময়ে তাঁদের প্রতি সুবিচার করেনি।’’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us