স্বাধীনতা যুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গণহত্যার শিকার মুক্তিযোদ্ধা, নিরীহ বাঙালি শহীদদের (গণকবর) অধিকাংশ বধ্যভূমি রয়েছে অযত্ন ও অবহেলায়। নীলফামারীর ২৫টিরও অধিক গণকবরেরও একই অবস্থা।
নীলফামারীর সরকারি কলেজ চত্ত্বরে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ বাঙালিকে হত্যার পর সেখানের পুরনো একটি কুয়ায় ফেলে দেয় পাকিস্তানিদের দোসর আলবদর ও আল শামস বাহিনীর সদস্যরা। সম্প্রতি এই গণকবরটি চিহ্নিত করে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২০১৮ সালে ওই কলেজের গণকবরের জায়গাটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শেষ হলেও তা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। এতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে দুই দফায় ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রথম দফায় ১৩ লাখ ও দ্বিতীয় দফায় ৩৪ লাখ।