মালিনী সাবা: পাঁচ হাজার কর্মীর সাবা গ্রুপ বিশ্বের ২০টি দেশে কাজ করে। আমাদের গ্রুপের ১৫টি কোম্পানি আছে। আমাদের গ্রুপের কৃষির প্রতি ভালোবাসা ও আকর্ষণ আছে। ধান–চালের ব্যবসা, ফার্মাসিউটিক্যালস ফিন-টেক–এর ব্যবসা আরও শক্তিশালী করাই লক্ষ্য। সোনার খনি খনন, বিনোদন, আবাসন ব্যবসা, পর্যটন খাতেও কাজ করি। আর বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তিতে বিনিয়োগে আমরা আগ্রহী। সাবা গ্রুপ মুনাফার ৫০ শতাংশ জনহিতকর কাজে ব্যয় করে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প ও সংস্কৃতি এবং মানবাধিকারের ব্যাপারে আমরা সহায়তা করি। আমাদের গ্রুপে অংশীদারদের মধ্যে কার্গিল, বায়োস্টিল গ্রুপ, কফকো ইন্টারন্যাশনাল, গ্লেনকোর, জিন্দাল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার, এলজি, মিতসুই অ্যান্ড কোম্পানি এ কাজে সহায়তা করে থাকে।
স্বনির্ভর মানুষ এবং বিশ্বব্যাপী পণ্য পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে অভিজ্ঞতাটা কেমন?
মালিনী: পণ্যের ব্যবসায় আশ্চর্যজনকভাবে আমি ৩০ বছর পার করলাম। যাত্রাটা আকর্ষণীয়ই ছিল। আমি একদম শুরু থেকে নিজেকে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসায়ে বিনিয়োগের জায়গাগুলোতে কাজ করেছি। চলতে চলতে শিখেছি। আমি মনে করি, ধীরে ধীরে গৎবাঁধা নিয়মগুলো ভেঙেছি। ‘গণিতে পুরুষদের’ দাপটের জায়গটিও ভেঙেছি। নারীরা না এলে অর্থনীতি কাঙ্ক্ষিত গতিতে এগোবে না, এটা ভেবেই কাজ করে গেছি। পণ্যের বাজারের ব্যবসায় কেবল ভারতে নয়, বিশ্বজুড়ে মূলত পুরুষেরা চালাতেন। একজন নারী ব্যবসায়ীকে এ খাতে খুঁজে পাওয়া কঠিন কাজ। আমার অভিজ্ঞতায় নারী ব্যবসায়ীরা পুরুষ ব্যবসায়ীদের চেয়ে এ খাতে ভালো করছেন। আর এটা আমি বলছি, কারণ নারীরা পুরুষদের তুলনায় তুলনামূলক বেশি শৃঙ্খলাবদ্ধ। আর এর কারণে এটা নিশ্চিত করে যে তাঁরা (নারী) ক্ষতি কমিয়ে সামগ্রিকভাবে আরও ভালো মুনাফা করেন। আমি আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোতে নারীদের বেশি করে চাকরি দিই। কারণ, আমি এখানে নারীদের জন্য একটি ধারা তৈরি করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি যে নারী ব্যবসায়ীরা তথ্যর পেছনে ছোটেন। আর কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ তাঁদের ধারণাগুলো ব্যবহার করে দক্ষ হয়ে ওঠেন।