রাঙামাটি জেলার নান্নেরচর থানায় বুড়িঘাট এলাকার অবস্থান। রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কটি এই বুড়িঘাট হয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। অদূরেই কাপ্তাই লেক। পার্বত্য অঞ্চলে রাঙামাটির মহালছড়ি একটি গুরুত্বপূর্ণ জলপথ। এই জলপথ মুক্তিবাহিনীর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছিল। প্রতিরোধযুদ্ধে কালুরঘাট ব্রিজের পতন হলে ওই এলাকায় অবস্থানরত বিদ্রোহী বাঙালি সেনাদের কাপ্তাই-রাঙামাটি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়ক ধরে রামগড়ে (মুক্তিবাহিনীর প্রাথমিক হেডকোয়ার্টার) পৌঁছানোর আর কোনো বিকল্প পথ ছিল না।
এই জলপথকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং এই জলপথে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চলাচল প্রতিরোধ করার জন্য ৮ বেঙ্গলের ক্যাপ্টেন (পরে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) খালেকুজ্জামান চৌধুরী মাত্র এক কোম্পানি সেনা সঙ্গে নিয়ে মেজর (পরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল, রাষ্ট্রদূত ও মন্ত্রী) মীর শওকত আলীর নির্দেশে চেংগী খালের দুই পাড়ে প্রতিরক্ষা অবস্থান গ্রহণ করে।