আমন ধান ঘরে এনে বাংলার কৃষকেরা যে বিশেষ অনুষ্ঠান পালন করেন, তা নবান্ন উৎসব নামে পরিচিত। ‘নবান্ন’ শব্দের শাব্দিক অর্থ নব অন্ন। অগ্রহায়ণ-পৌষে কৃষিজীবী মানুষ ঘরে ঘরে প্রথম ধান তোলার পর সেই নতুন চালের দিয়ে তৈরি পিঠা-পায়েস-মিষ্টান্নসহযোগে উৎসবটি পালন করে।
নবান্ন যদিও কোনো ব্রত বা পূজা নয়, তারপরও বাংলাদেশের সবখানে উৎসবটি পালিত হয় সামাজিকভাবে। গ্রামীণ পরিবেশে নবান্ন উৎসবের প্রচলন বেশি থাকলেও শহরের চৌহদ্দিতে আজ তা খানিকটা পৌঁছে গেছে। নবান্ন মূলত শস্য উৎসব। বাংলায় নবান্ন পালনের রীতি কত পুরোনো, তার দিনক্ষণ ঠিক করে বলার জোরালো কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ আজ আর অবশিষ্ট নেই। অনুমান করা যেতে পারে, নিজে খেয়ে ও অন্যকে খাইয়ে তৃপ্ত হওয়ার বাঙালির যে চিরন্তন ভাবনা, তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে নবান্ন উৎসবে।