অন্য দলে যান বা নতুন দল গড়ুন, সিব্বলকে হুঁশিয়ারি অধীরের

আনন্দবাজার (ভারত) প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২০, ১৪:৫১

বিহার নির্বাচনে ভরাডুবির পর ফের প্রকাশ্যে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ কাজিয়া। পরিস্থিতি এতটাই চরমে যে, প্রবীণ নেতা তথা সাংসদ কপিল সিব্বলকে দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বসলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। তার পিঠোপিঠি বুধবার সন্ধ্যায় দলের নেতাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকলেন দলনেত্রী সনিয়া গাঁধী। তার অব্যবহিত আগে অধীরের এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। তাঁদের মতে, এমনিতে গাঁধী পরিবারের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত অধীর। তাঁর এই মন্তব্যের পিছনে হাইকম্যান্ডের অনুমোদন থাকার সম্ভাবনা। ফলে কংগ্রেসের অন্দরমহলের ধারণা, অধীরের মাধ্যমে সিব্বলকে বার্তা পাঠিয়েছে গাঁধী পরিবারই।

প্রসঙ্গত, সদ্যসমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। জোটসঙ্গী তেজস্বী যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে। বামেরাও নিজেদের আসন বাড়াতে সফল হয়েছে। সেখানে আসনসংখ্যা বাড়ানো তো দূর, বরং আগে জেতা বহু আসনও হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের। তাদের জন্যই ‘মহাজোট’ সরকার গড়তে পারেনি বলে ইতিমধ্যেই আরজেডি শিবির থেকে অভিযোগ উঠে এসেছে। নির্বাচনী প্রচার ঘিরে কংগ্রেস নেতাদের ‘গা-ছাড়া মনোভাব’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা।

তবে শুধু আরজেডি-ই নয়, কংগ্রেসের অন্দরেও এ নিয়ে সরব হয়েছেন একাধিক নেতা। যাঁদের মধ্যে অন্যতম দলের রাজ্যসভা সাংসদ সিব্বল। তিনি প্রকাশ্যেই বলেছেন, ভরাডুবির কারণ খুঁজে বার করতে হলে আত্মসমীক্ষা প্রয়োজন। কিন্তু বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হোক বা বিভিন্ন রাজ্যে উপনির্বাচন, ব্যর্থতা নিয়ে সাফাই দেওয়ার কোনও তাগিদই অনুভব করেননি দলীয় নেতৃত্ব। সমস্যাটা হয়ত চোখেই পড়ছে না ওঁদের। অথবা চোখে পড়লেও এড়িয়ে যাচ্ছেন। সরাসরি হাইকম্যান্ডের কাছে অভিযোগ জানানোও আজকাল অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও অভিযোগ সিব্বলের।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us