‘হেলমেট কই? সিটবেল্ট বাঁধা হয়নি কেন?’ বছর দুয়েক আগে এমন সব যৌক্তিক জিজ্ঞাসায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজধানীর রাজপথসহ সারা দেশ। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের এমন জিজ্ঞাসার মুখে অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়েছেন অনেক চালক এবং যাত্রী। ‘মোটরযান চালক সিটবেল্ট বাঁধা ব্যতীত মোটরযান চালাইতে পারিবেন না’—সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮–তে স্পষ্ট করে বলা আছে এ কথা। নিরাপত্তার জন্য সিটবেল্টের উপকারিতা অনস্বীকার্য। গাড়ি দুর্ঘটনায় চালক এবং যাত্রীরা সাধারণত ব্যথা পেয়ে থাকেন গাড়ির স্টিয়ারিং হুইল, ড্যাশবোর্ড কিংবা উইন্ডস্ক্রিনে (সামনের কাচ) ধাক্কা খেয়ে। এমন অবস্থায় সিটবেল্ট আঘাতের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া গাড়ির মোড় ঘোরানো বা ওভারটেকের সময় দেহের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রেও সিটবেল্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি নিরাপত্তা উপকরণ।
এই যে সিটবেল্ট নিয়ে এত এত কথা, কবে-কোথায় উৎপত্তি এই সিটবেল্টের? ডিফেন্স ড্রাইভিং ডট কমের তথ্যমতে, আঠারো শতকের শেষ দিকে ইংরেজ প্রকৌশলী জর্জ ক্যালি প্রথম সিটবেল্ট তৈরি করেন। ১৯৫৮ সালে সুইডেনের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভলভোর নকশা প্রকৌশলী নিলস বোহলিন ৩ পয়েন্টযুক্ত আধুনিক সিটবেল্ট তৈরি করে পেটেন্ট করিয়ে নেন।