সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম শিপনের মৃত্যুর পরও স্বাভাবিক ছিল ওরা। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ৪০ মিনিটের মধ্যেই সব ওলটপালট হয়ে যায়। ৭ দিনের পুলিশি রিমান্ডে থাকা ১০ আসামি এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে তদন্ত কর্মকর্তাদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এএসপি আনিসুলকে হত্যার পরেও হত্যায় অংশ নেয়া রাজধানীর আদাবরে অবস্থিত মাইন্ড এইডের ১০ কর্মচারীসহ হাসপাতালের সকলেই ছিল স্বাভাবিক।
তারা এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার আগ পর্যন্ত নিশ্চিত ছিল এটাকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলে চালিয়ে দেবে। তারা প্রত্যেকেই হাসপাতালে যে যার স্বাভাবিক কাজকর্ম করছিলেন। সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মারধরে অংশ নেয়া একাধিক আসামি জানায়, এই ঘটনায় এএসপি আনিসুলের মৃত্যু হবে সেটা তারা বুঝে উঠতে পারেনি। কারণ, মানসিক রোগীদের আমরা এভাবেই নিয়ন্ত্রণ করে থাকি। এটাই আমাদের সিস্টেম। এর আগেও একাধিক রোগীকে একই কৌশলে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কিন্তু কারো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। কোনো রোগী প্রাথমিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেও পরবর্তীতে সুস্থ হয়ে যেতেন। এটাই প্রথম এবং একমাত্র হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে মাইন্ড এইডে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছিল এটা নিয়ে খুব বেশি বাড়াবাড়ি হবে না। কিন্তু মাত্র ৪০ মিনিটের ব্যবধানে পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর ভিডিওটি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। পরবর্তীতে যখন আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে ভিডিওটা প্রথম দেখি তখন এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়। তখন আমরা হাল ছেড়ে দেই। এসময় আমরা প্রত্যেকেই আলাদাভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঢাকার বাইরে আত্মগোপনে যাওয়ার পরিকল্পনা করি।