তা হলে সত্যিই কি ‘মেলাবেন তিনি মেলাবেন’? মঙ্গলবার দুপুরে নবান্নে পাহাড়-বৈঠক শুরুর আগে এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে প্রশাসনের অন্দরে।
এই কাজ যে কঠিন হতে পারে, সেই সম্ভাবনাকে উস্কে সোমবার বাগডোগরা থেকেই বিমল গুরুংকে কড়া বার্তা দিলেন বিনয় তামাং। বললেন, ‘‘পাহাড়ের রাজনীতিতে আর বিমলের জায়গা নেই। তাঁর সঙ্গে রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক মঞ্চ ভাগাভাগিরও প্রশ্ন নেই।’’ বিনয়ের এই বার্তাকে বৈঠকের আগে দর কষাকষির ক্ষেত্র তৈরি করার প্রচেষ্টা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তাঁদের কথায়, যে বিমল তিন বছর আগে বিনয়দের ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে কোনওরকম ক্ষমতা ভাগ করা বিনয়কের পক্ষে যেমন কঠিন, তেমনই মুখে না বললেও পাহাড়ে বিমলের প্রভাবকে পুরোপুরি অস্বীকার করাও সম্ভব নয়। আজ, মঙ্গলবার নবান্নের বৈঠকে এই দুই পক্ষকে বুঝিয়ে কী ভাবে মেলাবেন শাসক শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব, সেটাই এখন দেখতে আগ্রহী সকলে।