ফ্রান্সের শার্লি এবদোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি, ক্ষিপ্ত তুরস্ক

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২০, ১০:৩৬

সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং কট্টরপন্থী ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পক্ষে মন্তব্য করায় ‘বয়কট ফ্রান্স’ ইস্যুতে ন্যাটো জোটের মিত্রদের সাথে তুরস্কের বিরোধ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। তুর্কী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে নিয়ে ফ্রান্সের রম্য সাময়িকী শার্লি এবদো একটি ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত তুরস্ক সাময়িকীটির বিরুদ্ধে ‘আইনি এবং কূটনৈতিক’ ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এতে আঁকা হয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিজাব পরা এক নারীর স্কার্ট উঠিয়ে দেখছেন। এরদোয়ানকে দেখা যাচ্ছে অর্ধনগ্ন, তিনি বিয়ারের গ্লাস হাতে আরাম-কেদারায় বসে আছেন।   এদিকে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বলছে, দেশটির কৌঁসুলিরা এই রম্য সাময়িকীর বিরুদ্ধে সরকারিভাবে তদন্ত শুরু করেছে। ফ্রান্সে সম্প্রতি ক্লাসরুমে মহানবী (সা.)-এর কার্টুন দেখানোর প্রেক্ষিতে একজন স্কুল শিক্ষকের শিরচ্ছেদের পর ইসলাম ধর্ম নিয়ে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য এবং কট্টরপন্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবার ব্যাপারে তার অঙ্গীকার নিয়ে ফ্রান্স এবং তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ম্যাক্রো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি ধর্ম নিরেপক্ষতাকে সুরক্ষিত করবেন। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোকে উদ্দেশ্য করে অপমানসূচক মন্তব্য করায় ইতিমধ্যে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ।   এর আগে ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং কট্টরপন্থী ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পক্ষে মন্তব্য করায় ইমানুয়েল ম্যাক্রোর ‘মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ করানো প্রয়োজন বলে কটাক্ষ করেন মি. এরদোয়ান। মি. এরদোয়ান প্রশ্ন তুলেন- ম্যাক্রো নামক ব্যক্তির ইসলাম এবং মুসলিমদের নিয়ে সমস্যাটা কোথায়? শার্লি এবদো প্রতিষ্ঠান-বিরোধী ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে থাকে। তারা চরম ডানপন্থীদের ব্যঙ্গ করে এবং ক্যাথলিক ক্রিশ্চিয়ান ও ইহুদী ধর্ম এবং ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও ব্যঙ্গাত্মক চিত্র প্রকাশ করে দীর্ঘদিন ধরেই নানা সময়ে বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছে।   তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান সাম্প্রতিক বক্তব্যে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কয়েকটি দেশের সাথে তিক্ত সম্পর্ক তৈরি করেছেন। ফরাসী জনমত জরিপ সংস্থা আইএফওপি’র পরিচালক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক জেরোম ফোরকোয়া বিবিসিকে বলেন, এবারের হত্যাকাণ্ডটি ছিল ভিন্নতর- একজন শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছে এবং অত্যন্ত ‘পাশবিক‘ কায়দায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার মতে, এ কারণেই সরকার এবার অত্যন্ত কঠোর।   ফ্রান্সের ন্যাশনাল সেন্টার পর সায়েন্টিফিক রিসার্চের সমাজবিজ্ঞানী ল্যঁরা মুচ্চেলি মনে করেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো ‘মাত্রাতিরিক্ত’ তৎপরতা দেখাচ্ছেন এবং তার পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। তার মতে, মি. ম্যাক্রোর মাথায় এখন বিশেষ করে ২০২০ সালের নির্বাচনের কথা ঘুরছে। ম্যাক্রো আগুনে ঘি ঢালছেন বলেন মি. মুচ্চেলি। ‘তিনি চাইছেন জনগণ যেন মনে না করে যে তিনি ডানপন্থী বা কট্টর ডানপন্থীদের চেয়ে এক পা হলেও পিছিয়ে।’ তার প্রধান লক্ষ্য ২০২২ সালের নির্বাচন জেতা। উনবিংশ শতাব্দী থেকেই তাদের (কট্টর ডানপন্থীদের) প্রধান টার্গেট অভিবাসন এবং নিরাপত্তা।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us