বনের ভেতরে আঁকাবাঁকা পথের ধারেই কারুকার্যখচিত উই পোঁকার ঢিবি, বাহারী জংলী গাছের লতা পাতায় মোড়ানো প্রকৃতির আশির্বাদে দ্বারিয়ে আছে অগুণিত শাল গাছ। একটু এগিয়ে যেতেই মেঘেরা হাড়িয়ে যায় অগুনিত শালগাছের আড়ালে, হঠাৎ করে নেমে আসে অন্ধকার। অচেনা ফুলের ঘ্রাণে জেগে ওঠে প্রেম। শালপাতার মড়মড় শব্দে মনে পরে ছোটবেলায় দাদা দাদীর গল্পের বাঘ মামার কথা। বলছিলাম শালবনে ঘেরা প্রাচীন ইতিহাস সমৃদ্ধ আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানের কথা।
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা সদর থেকে ভ্যান অথবা ইজিবাইকে করে উত্তরে মাত্র ৫ কি.মি. দূরেই এ উদ্যানকে কেন্দ্র করে প্রকৃতির গর্ভে গড়ে উঠেছে সুবিশাল শালবন। সু-বিস্তৃত দীঘির উত্তর পাড়েই তারকাঁটায় ঘেরা ভারতের সীমান্ত ফাঁড়ি। প্রায় ২৬৪.১২ হেক্টর এই বনভূমির ঠিক মাঝখানে ৪৩ একর আয়তনের বিশাল এই দিঘীর স্বচ্ছ পানিতে ফুটে থাকা হাজারো পদ্মফুল যে কোন ভ্রমণ পিপাসু মানুষকে বিমোহিত করবে।