ডান হাতে ১৪টি সেলাই, একটি রগ কেটে গেছে একেবারেই৷ হাতে এখন আর শক্তিও পান না সিলেটের শফিক মিয়ার অভিযোগ, পুলিশের কুকুর কামড়ে তাকে এই অবস্থা করেছে৷ নির্মমভাবে শরণার্থীদের পেটানোর অভিযোগ রয়েছে ক্রোয়েশিয়া পুলিশের বিরুদ্ধেও৷ এমনকি অনেক শরণার্থী বলছিলেন, বসনিয়া সীমান্ত পাড়ি দেয়ার পর ধরা পড়লে তাদের কালো মুখোশধারী পরিহিত পুলিশ চোখ বন্ধ করে পেটায়৷ এসব পুলিশের অনেকের ইউনিফর্মে জার্মান নাম লেখা, তেমনটাও অভিযোগ করেছেন অনেক শরণার্থী৷
বসনিয়া-ক্রোয়েশিয়ার সীমান্তের ঠিক কাছেই অবস্থিত মিরাল ক্যাম্প৷ আর সে কারণে বসনিয়ায় অন্য অঞ্চলে অবস্থিত ক্যাম্পগুলোর চেয়ে এই ক্যাম্পটিই শরণার্থীদের কাছে বেশি আগ্রহের৷ এখান থেকে তারা সহজেই অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করতে পারেন৷ এই চেষ্টার একটা নামও দিয়েছেন তারা- ‘গেম মারা’৷
ক্যাম্পের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি শরণার্থী এই অঞ্চলে থাকায় বেশিরভাগেরই আশ্রয় নিতে হয়েছে পাশের জঙ্গলে, অথবা পরিত্যক্ত এক ছাদবিহীন কারখানায়৷