পানি শুকানোর সাথে সাথে ধরলা ও তিস্তা পাড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়ছে তিস্তা ধরলা পাড়ের হাজারও পরিবার। গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা ও তিস্তার ভয়াবহ ভাঙনে লালমনিরহাটের দেড় শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।
বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ হাজার কিউসেক।
সরেজমিনে, জেলার সদর, হাতীবান্ধা ও আদিতমারী উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে নদী ভাঙনের তীব্রতা দেখা গেছে। তীব্র ভাঙন দেখা দেয়ায় পরিবারগুলো ঘরবাড়ি নৌকায় করে ভাসিয়ে নিয়ে স্থানীয় গাইডবাধে আশ্রয় নিচ্ছেন।
জানা গেছে, কার্তিক মাসের শুরুতে এমন ভাঙন তিস্তা ধরলা পাড়ের মানুষকে বিপাকে ফেলেছে। অব্যাহত ভাঙনে তিস্তা মূল গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে আরও দুইটি ধারায় তিস্তার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন গতিপথ সংলগ্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে প্রবল ভাঙন।
লালমনিরহাট সদরের মোগলহাট, গোকুন্ডা, খুনিয়াগাছ, আদিতমারীর মহিষখোঁচা, গোবরধন, নন্ডিমারী, আরাজি ছালাপাক, বারঘরিয়া, চৌরাহা, কালীগঞ্জের ভোটমারী, কাকিনা, চর বৈরাতি ও হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, চরধুবনী, সিন্দুর্না, চর হলদিবাড়ি, চর ডাউয়াবাড়ি, বিছনদই এলাকায় তিস্তা ধরলার পানি কমার সাথে সাথেই দেখা দিয়েছে ভাঙন।