দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইদহ জাতীয় পার্টির কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। এতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন দলের তৃণমূল কর্মীরা। সিনিয়র নেতাদেরও ভুলতে বসেছেন অনেকে। কেউ কেউ হতাশা আর অনাস্থায় দলও ছাড়ছেন। জানা গেছে, মূলত জেলা সভাপতি দল ছাড়ার পর এখানে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে ভাটা পড়েছে। কর্মীদের নেতা ছিলেন সভাপতি হারুনার রশিদ। ছিল অঢেল টাকা-পয়সা। সেই অনুযায়ী কর্মীদের পাশে দাঁড়াতেন। দল ছাড়ার পর তার জায়গাটুকু এখনো কেউ পূরণ করতে পারেননি।
এক আইনজীবী বলেন, একটি রাজনৈতিক দল ভোটের সময় মানুষের বাড়ি-বাড়ি বা দ্বারে-দ্বারে যায়। তাদের ভোটেই নির্বাচিত হয়। তাই সংকটে সমাজের এসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়। এভাবে থাকলে দলের প্রতি মানুষের যেমন সমর্থন বাড়ে তেমনি কর্মীরাও আস্থা ফিরে পায়। জেলা জাতীয় পার্টি কোনোটাতেই নেই।
একাধিক কর্মী জানান, জাতীয় পার্টির কমিটি থাকলেও সাংগঠনিকভাবে দলটি কোনো অবস্থান তৈরি করতে পারছে না। কারণ- হারুনার রশিদ এখন আর দলে নেই। তার সিদ্ধান্তেই দল চলতো। এখন এক প্রকার নেতৃত্বশূন্য জাতীয় পার্টি বলা যায়।