দ্রুত পিপিই সরবরাহ করায় বাংলাদেশকে মার্কিন মন্ত্রীর ধন্যবাদ

মানবজমিন প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

বাংলাদেশে সমপ্রতি ৩ দিনের সফর শেষে নিজের অভিজ্ঞতা ও ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগান। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ টেলিফোন ব্রিফিংয়ে নিজের সামপ্রতিক ঢাকা ও নয়াদিল্লি সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন বিগান। মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের নয়াদিল্লি সফর শেষে গত ১৪ থেকে ১৬ই অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করেন। তিনি বলেন, যদিও আমি বহুবার ভারত সফর করেছি, কিন্তু এটি ছিল আমার প্রথম বাংলাদেশ সফর, যেটি আমাকে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী করে তুলেছে।যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠতম এই কূটনীতিক তার দেশে দ্রুত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) রপ্তানি করায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য  পেশাজীবীদের জন্য সুরক্ষামূলক সামগ্রী উৎপাদনে আমরা নিজেরাও যখন পুরোপুরি সামলে উঠতে পারিনি, তখন বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের পাশে এসে দাঁড়ায়। উল্লেখ্য, গত মে মাসে, বাংলাদেশের বেক্সিমকো টেক্সটাইলস ক্রয়াদেশ পাওয়ার মাত্র দুই মাসের মধ্যে ৬৫ লাখ পিপিই গাউন রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্রে। টেলিফোন সংবাদ সম্মেলনে বিগান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল  মোমেনের সঙ্গে এই সংঘাত নিরসনের উপায় খুঁজতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সুযোগ-সম্ভাবনা নিয়ে তার আলোচনা হয়েছে।তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি শরণার্থী অবস্থান কোনো বিকল্প হতে পারে না। প্রসঙ্গত, শিগগিরই অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত দাতাগোষ্ঠীর একটি সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের অবস্থানের ব্যয় নির্বাহে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের উদ্বেগ রয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন এই সংকটকে আরো প্রলম্বিত করতে পারে। বিগান বলেন, শরণার্থী জনসংখ্যার মানবিক প্রয়োজন এবং এই সংকটের স্থায়ী সমাধান-উভয় দিকেই আমরা সমান গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবো।ঢাকায় বিগানের এই সফরের আগে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় মিলিত হন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি কেইথ ক্র্যাচ। বিষয়টি উল্লেখ করে বিগান বলেন, আমি জনাব রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তিনি বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও সফল একজন ব্যক্তিত্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান রহমানের বিপরীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের আন্তর্জাতিক অর্থনীতি বিষয়ক আন্ডার  সেক্রেটারি কেইথ ক্র্যাচকে মনোনীত করেছেন। তারা দু’জন একসঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতার একটি রূপকল্প প্রস্তুত করেছেন, যেটি আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরো গভীর করতে সত্যিকার অর্থে ভূমিকা রাখবে।বাংলাদেশে সর্বশেষ সংসদ নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ এই কূটনীতিক বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় যেই বিষয়টি বাংলাদেশকে নেতৃত্বস্থানীয় অবস্থানে বসিয়েছে তা হলো গণতান্ত্রিক অগ্রগতিতে বাংলাদেশের অবিরাম প্রচেষ্টা। তিনি আরো যোগ করেন, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা ও অসংখ্য নির্বাচনের মাধ্যমে একে ধীরে ধীরে টেকসই করে তোলা এমন এক চ্যালেঞ্জ, যা প্রত্যেক জাতিকেই নিজ নিজ পন্থায় মোকাবিলা করতে হয়। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এটি কোনো ব্যতিক্রম নয়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us