বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীবৃন্দ সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করে। গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে সাবেক ও বর্তমান ১ হাজার ৫৭৬ জন শিক্ষার্থী স্বাক্ষর ও সর্মথন ব্যক্ত করেছেন বলে জানান কর্মসূচির সমন্বয়ক মাহফুজ আল-আমিন।
ইউজিসির পক্ষপাতমূলক তদন্তকার্যক্রম বন্ধে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির সমন্বয়ক মাহফুজ আল-আমিন বুধবার (২১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, বহুল আলোচিত সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজান উদ্দিনের সময় ঢাকাস্থ রাবি’র অতিথি ভবন ক্রয়ে ১৩ কোটি টাকা, রাবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের হেকেপ প্রকল্পের সাড়ে ৩ কোটি টাকা এবং রাবি শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক নির্মাণে ৮০ লক্ষ টাকার আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত কিছু স্বার্থান্বেষী শিক্ষক নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে ১/১১ তে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে রিমান্ডসহ ১০৪ দিন কারাবন্দী থাকা বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান- এর মর্যাদাহানি এবং তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও বিব্রত করার অসৎ উদ্দেশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে নিরন্তর মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া ও ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করে চলেছেন। অত্যন্ত বিস্ময় ও পরিতাপের বিষয় এই যে, অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত কোটি কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নিলেও রহস্যজনক কারণে অতি উৎসাহের সাথে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বর্তমান উপাচার্যের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক তদন্ত কমিটি গঠনপূর্বক ঢাকায় গণশুনানির আয়োজন করে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও উত্তরবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই গণশুনানী অত্যন্ত অবমাননাকর, মানহানিকর ও অসম্মানজনক বলে আমরা এই প্রাণপ্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীবৃন্দ মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।’