সারা দেশে শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে প্রকৃতি। আশ্বিন মাস শেষ শীত শুরু হতে আর দেরি নেই বেশি। এই মহামারীকালে উত্তরের হাওয়া বাংলাদেশে পৌঁছানোর আগেই করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কতা আসতে শুরু করছে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে বলা হচ্ছে এই শীতের মাঝে ভাইরাস আরও বেশি ছড়াতে পারে। তাই আমাদের এখন থেকে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে এ আশঙ্কা কথা জানিয়ে আগাম প্রস্তুতি নেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশের মানুষের জীবন যাপনের পদ্ধতির কারণে শীত মৌসুমে ঝুঁকি বাড়ার কথা বলেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে ঋতু পরিবর্তনের সময় পরিস্থিতি কতটা নাজুক হবে, তা নির্ভর করছে মৌসুমী রোগ, মানুষের আচরণ ও সরকারের ব্যবস্থাপনার ওপর। সম্প্রতি জাপানের চিকিৎসকরা একটি তথ্য জানিয়েছেন যে, করোনাভাইরাস মানবদেহে ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে। এখনও কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি তাই আমাদের উপায় একটাই কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। শীতের ঝুঁকি যেমনই হোক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। তাপমাত্রা যত কমবে, এসব ভাইরাসের স্থায়ীত্বকাল তত বাড়বে। সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আরেকটি বিশেষ কারণ হলো শীতের মাঝে মানুষের স্বাভাবিক ভাবেই ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখে, আর এ বদ্ধ ঘরে ভাইরাস বাড়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।