সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশি নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত শেষে আবারো তার লাশ দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল আখালিয়াস্থ এলাকার নবাবী মসজিদের পঞ্চায়েতি গোরস্থান থেকে রায়হানের লাশ ওঠানোর কাজ শুরু করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজিব আহমেদ ও মেজবাহ উদ্দিনের উপস্থিতিতে লাশ ওঠানোর পর পুলিশ পাহারায় পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের পর দ্বিতীয়বার লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। নিহত রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তার তিন মাস বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন তিনি।
হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে সড়ক অবরোধ নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের ফলে নিহত যুবক রায়হান আহমদের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এসময় সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরাতে গেলে পুলিশের দিকে ধাওয়া করেন উত্তেজিত জনতা।