আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, গতিশীলতা ও ভোগান্তি দূর করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব দপ্তরকে অটোমেশনের আওতায় এনেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাশরুমে এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে এই অটোমেশন প্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন।
এর ফলে এখন থেকে শিক্ষার্থীরা সরাসরি নির্ধারিত ব্যাংকে না গিয়েও ঘরে বসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (বিকাশ, রকেট, নগদ, শিওরক্যাশ ইত্যাদি) মাধ্যমে যাবতীয় বেতন-ফি জমা দিতে পারবেন।
এর আগে শুধু সোনালী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় শিক্ষার্থী যাবতীয় বেতন-ফি জমা দিতে হত। এখন থেকে জনতা ব্যাংকের যে কোনো শাখা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেনের কাজ করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরও বেতন, পেনশন, আয়কর, ইন্স্যুরেন্স, ব্যাংক ঋণ, প্রভিডেন্ড ফান্ড, বেনিভোলেন্ড ফান্ড, শিক্ষকদের পরীক্ষা সংক্রান্ত বিল, বিভিন্ন ট্রাস্ট ফান্ডের হিসাব ইত্যাদি এই অটোমেশনের ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।