বরিশালে এক হিজড়াকে টানা ৮ মাস ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় এক আইনজীবীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মারুফ আহমেদ অভিযুক্তের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত শামসুল হক বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এবং নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের গোরস্থান রোডের বাসিন্দা। অপরদিকে মামলার বাদী ওই হিজড়ার বাড়ি সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামে। বর্তমানে তিনি নগরীর কাউনিয়ায় বসবাস করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাতে কয়েকজন হিজড়া থানায় হাজির হয়ে জানান, তাদের একজনকে আট মাস ধরে ধর্ষণ করা হচ্ছে। তারা অভিযুক্ত ব্যক্তির শাস্তি দাবি করেন এবং লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় থানার এসআই ফজলুল হককে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফজলুল হক জানান, আইনজীবী শামসুল হক নগরীর কাশিপুর এলাকার কয়েক শতাংশ জমি বিক্রির জন্য সাইনবোর্ড টানান। ওই সাইনবোর্ডে আইনজীবী শামসুল হকের মুঠোফোন নম্বর দেয়া ছিল। ওই ব্যক্তি আট মাস আগে সাইনবোর্ডে দেয়া মুঠোফোন নম্বরে কল দিলে তাকে নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের গোরস্থান রোডের বাসায় যেতে বলেন শামসুল হক। এরপর শামসুল হক ওই হিজড়ার কাছে জমি কম দামে বিক্রির কথা বলে আট মাসে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এছাড়া আইনজীবী শামসুল হকের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও কৌশলে মুঠোফোনে ধারণ করেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন ওই হিজড়া।