উচ্চ বেতনে চাকরির আশ্বাস দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শ্রমজীবী মানুষকে ভারত দুবাই ও মিসর হয়ে পাচার করা হয় লিবিয়ায়। সেখানে অপহরণ, জিম্মি, আটকে রেখে দেশে থাকা পরিবারের কাছ থেকে আদায় করা হয় টাকা। পাচারকারীদের একাধিক সংঘবদ্ধ গ্রুপ রয়েছে যার মধ্যে বাংলাদেশি তানজীরুলও একটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করেন। দেশ থেকে জমিজমা বিক্রি করে বা সুধের ওপর টাকা নিয়ে লিবিয়া গেলেও চাকরির পরিবর্তে মিলে ভয়ঙ্কর নির্যাতন। এ নির্যাতন অনেকেই সহ্য করেন আবার অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। গত ২৮ মে পাচারকারীদের হাতে যেসব বাংলাদেশি লিবিয়ায় খুন হয়েছেন তাদেরও একই রুটে লিবিয়ায় পাচার করা হয়েছিল। চাকরি দেয়ার কথা বলে ভারত দুবাই মিসরসহ কয়েকটি রুট পরিবর্তন করে তাদের লিবিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেখানে কয়েক দফা অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, ভয়ঙ্কর নির্যাতন শেষে আকস্মিক গুলি চালানো হয় মেরে ফেলার জন্য। ২৬ জনকে চোখের সামনে মরতে দেখেছেন। নিজেরাও গুলিতে আহত হলেও ভয়ে চিকৎকার করতে পারেননি। ভাগ্যগুনে তারা বেঁচে গেলেও সেইদিনের কথা মনে পড়তে এখনও আঁতকে উঠেন। দেশ-বিদেশে আলোচিত লিবিয়ায় পাচারকারীদের হাতে ২৬ বাংলাদেশি হত্যার ওই ঘটনায় বেঁচে ফেরা ৯ বাংলাদেশি শনিবার (৩ অক্টোবর) সিআইডির কার্যালয়ে তাদের সেই ভয়ঙ্কর দিনের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে এসব তথ্য জানান।