নওগাঁয় দ্বিতীয় দফার বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রথম দফা বন্যার ঘা শুকাতে না শুকাতেই আরেক দফার বন্যা হানা দিয়েছে নওগাঁর রাণীনগর, আত্রাই ও মান্দা উপজেলাতে। দ্বিতীয় দফার বন্যার হাত থেকে নদীর তীরবর্তি ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলোকে রক্ষা করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরাও দিন-রাত পাহারা দিচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো। কোথাও কোন সমস্যা দেখা দিলেই স্থানীয়দের সহায়তায় তা রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে আসছেন প্রকৌশলীরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে প্রথম দফার বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই গত মাসের শেষে দিকে প্রবল বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলের কারণে নওগাঁর দুটি প্রধান নদীসহ ৭টি নদীতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকে পানি। পরবর্তিতে দ্বিতীয় দফার ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হয় নওগাঁ। বর্তমানে আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে আত্রাই নদী। ফুলে-ফেপে উঠেছে আত্রাই নদীর প্রতিটি অংশ। সম্প্রতি নওগাঁ-আত্রাই-নাটোর মহাসড়কের পাশে রসুলপুর গ্রামে ধসের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে সেই সৃষ্ট ধসে তাৎক্ষণিক ভাবে স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে পানি উন্নয়নের বোর্ডের প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মচারীরা মেরামত করেন। যার ফলে নওগাঁ-আত্রাই মহাসড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার হাত থেকে যেমন রক্ষা পায় তেমনি ভাবে বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেলো অর্ধশতাধিক গ্রাম ও কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল।