উত্তর প্রদেশে হত্যা, পুলিশের এনকাউন্টার এখন গা সওয়া ঘটনা। দিল্লি ঘেঁষা নয়ডা ও গাজিয়াবাদ থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রায় সর্বত্র একের পর এক হত্যা হচ্ছে। সাংবাদিককে গুলি করা হচ্ছে। মারা যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু তাই বলে প্রায় প্রতিদিন দিনেদুপুরে ধর্ষণ? তাও জাতের নামে? দলিত মেয়েদের উপর অসহনীয় অত্যাচার?
মাঠে ঘাস কাটতে গেলে ধর্যণ, কলেজে ভর্তির ফর্ম জমা দিতে যাওয়ার পথে ধর্ষণ। এ কোন সময়ে বাস করছি আমরা? আর তারপর সেই ধর্ষিতার মৃতদেহ পরিবারের কাছে না দিয়ে মাঝরাতে পুড়িয়ে ফেলে পুলিশ! এমন অমর্যাদাকর ঘটনার পরেও কারো শাস্তি হবে না?
হাথরাসে মা, বোন, ভাইয়ের সঙ্গে মাঠে ঘাস কাটছিল উনিশ বছরের দলিত মেয়েটি। তাঁকে ধরে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে পাশের বজরা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। বলরামপুরে কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য বেরিয়েছিল এক দলিত ছাত্রী। তাঁকে অপহরণ করে, অজ্ঞান করে, ধর্ষণ ও অত্যাচার করা হয়। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ধর্ষকরা একটি টোটোতে করে মেয়েটিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ধর্ষিতার পায়ের হাড় ভাঙা, কোমরের হাড় ভাঙা। মায়ের কাছে তাঁর একটাই আবেদন ছিল, ''মা আমি বাঁচতে চাই।'' বাঁচতে পারেনি সে। বলরামপুর থেকে লখনউয়ে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান ওই দলিত তরুণী।