বঙ্গবন্ধু সেতুর গাইড বাঁধে ভাঙন

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

টাঙ্গাইলের কালিহাতীর বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে দ্বিতীয় গাইড বাঁধে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের ফলে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে ১৫০ মিটার বাঁধ ও বাঁধের অভ্যন্তরে থাকা পাকা দালানসহ বেশ ক’টি বসতভিটা। ভাঙন অব্যাহত থাকায় হুমকির মুখে রয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতুসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম। গত শনিবার রাতে কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের বেলটিয়া এলাকায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব দ্বিতীয় গাইড বাঁধের ১৫০ মিটার অংশ ভেঙে কয়েকটি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।জানা যায়, যমুনা নদীর ভাঙন থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষার্থে ২০০৪ সালে সেতুর পূর্বপাড়ের দক্ষিণ পাশে কার্পেটিং ও সিসি ব্লকের মাধ্যমে দ্বিতীয় রক্ষা গাইড বাঁধের নির্মাণ কাজ করা হয়। দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়া বাঁধে ২০১৭ সালে আঘাত হানে যমুনা। অল্প সময়ের ব্যবধানে বাঁধ ও বাঁধের আশেপাশের কয়েক শতাধিক বসতভিটা গিলে ফেলে। পরে পুনরায় বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সেতু কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৫০ মিটার এই গাইড বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ করে রানা বিল্ডার্স অ্যান্ড সহিদ ব্রাদার্স নামের দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।কিন্তু শুরু থেকেই গাইড বাঁধ নির্মাণে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ করে আসছিল স্থানীয়রা। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুনঃনির্মিত বাঁধটির মধ্যবর্তী অংশে ভাঙন দেখা দেয়। অল্প সময়ের মধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় ১৫০ মিটার বাঁধ ও বাঁধের অভ্যন্তরে থাকা পাকা দালানসহ ৩টি বসতভিটা। এর আগেও চলতি বছরের জুলাই মাসের শুরুতে ভাঙনের কবলে পড়ে বাঁধের শেষ প্রান্তের ৫০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয়রা জানায়, বঙ্গবন্ধু সেতু দ্বিতীয় রক্ষা গাইড বাঁধের কাজ শেষ না হতেই ভাঙন শুরু হয়েছে। দুইবারের ভাঙনে শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। বাঁধ নির্মাণের শুরু থেকেই সেতু কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা নিম্নমানের কাজের অভিযোগ করলেও তা শোনেনি সেতু কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ অস্বীকার করে বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল কবির পাভেল বলেন, ভাঙন ঠেকাতে আমরা প্রতিনিয়ত কার্যক্রম পরিচালানা করে আসছি। যখন বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়, তখন নদীর গভীরতা ছিল ৪০ মিটার। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে নদীর গভীরতা দাঁড়ায় ৪৫ মিটারে। ফলে সেখানে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us