দেশভাগের সময়ের ঘটনা। ১৯৪৭ সালের, ১৯ সেপ্টেম্বর। দিল্লি থেকে মুসলমান শরণার্থীরা চলেছে পাকিস্তানের উদ্দেশে। সবে ভাগ হয়ে গেছে দেশ। ভাগ হয়ে গেছে মানুষের ভাগ্যও। এপারের মানুষ ওপারে ছুটছে। ওপারের মানুষ এপারে। সবার হাতে বাক্স ও বস্তা। তল্পিতল্পা গুটিয়ে নিয়ে পালাচ্ছে যে যেভাবে পারে। পথে অনেকের আগলে রাখা জিনিসগুলোও ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে। প্রাণটাও রক্ষা পাচ্ছে না। একজন দুজন নয়, প্রাণ হারাচ্ছে লাখো মানুষ। ধর্ম পরিচয়ে তাদের কেউ হিন্দু, কেউ মুসলিম। ঘাতকও তারাই। ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম নৃশংসতায় ভিজে যাচ্ছে মাটি।
এইসব দাঙ্গা আর খুনোখুনির কবলে পড়ে নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে লেখকদেরও নিজ দেশ ছাড়তে হয়। সবই ঘটে তাদের চোখের সামনে। ফলে দেশভাগের পর যখন এ উপমহাদেশের লেখকরা থিতু হলেন, লিখলেন সে বেদনার কথা। গল্পে, উপন্যাসে, স্মৃতিতে উঠে এলো এক বেদনার অধ্যায়। ১৯৪৭ সালের আগে আর পরের সাহিত্যে দেখা গেল বড় পরিবর্তন।