উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বাড়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধরলা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে সদর উপজেলার চারটি চরের দেড় শ পরিবারের বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে।
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, পাঁচ দফা বন্যা, নদীভাঙন ও টানা বৃষ্টিতে তাঁর ইউনিয়নের ধরলা তীরের মানুষের অবস্থা কাহিল। মাধ গ্রাম থেকে বারাইবাড়ী পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকার ২০টি গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। জগমোহন, নানকা, নন্দদুলাল ও বরাইবাড়ী চরের দেড় শ পরিবার নদীভাঙনের কারণে বসতভিটা হারিয়েছে। জগমোহনের চরে কোনো বসতি নেই। এ ছাড়া খেতের সব ফসল প্রায় শেষ। নন্দদুলালেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনশেড ভবন নদীতে চলে গেছে। সবকিছু পরিষদে এনে রেখেছে।