সিলেটের পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের আন্দোলনের হুমকি

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লি. থেকে পেট্রোল ক্রয় গত ১লা সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন। ফলে বাজারে পেট্রোলের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বিএসটিআই-এর মান অনুযায়ী উৎপাদিত নয়Ñ এমন অজুহাত দেখিয়ে পেট্রোল ক্রয় বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিপিসি’র এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মঙ্গলবার যৌথ সভা করেছে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগ, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটরস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগ এবং ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট বিভাগ। যৌথ সভা থেকে নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেনÑ পূর্বের ন্যায় সিলেট গ্যাস ফিল্ডস থেকে পেট্রোল সরবরাহ না করলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে ওনার্স এসোসিয়েশন। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটরস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেটের বিভাগীয় সভাপতি আলহাজ মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় কুশিয়ারা কনভেনশন হলে আয়োজিত সভায় নেতৃবৃন্দ বলেনÑ রহস্যজনক কারণে এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় বিপিসি সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লি. থেকে পেট্রোল ক্রয় বন্ধ রেখেছে। অথচ বিগত প্রায় ৩০ বছর যাবৎ বিপিসি সিলেট গ্যাস ফিল্ডস থেকে ক্রয়কৃত পেট্রোল ও কেরোসিন দিয়ে সারা দেশের চাহিদা পূরণ করে আসছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী দেশের মোট চাহিদার ৬১ ভাগ পেট্রোল এবং ৮৭ ভাগ কেরোসিন  ও ১৫ ভাগ ডিজেল সরবরাহ করে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড। সম্প্রতি বিপিসি বিএসটিআই-এর মানের অজুহাত দেখিয়ে চট্টগ্রাম থেকে যে পেট্রোল সরবরাহ করছে সেটি অত্যন্ত নি¤œমানের এবং এই পেট্রোলে ক্রেতাদের অভিযোগের শেষ নেই। নেতৃবৃন্দ আরো বলেনÑ গত ৩০ বছর যাবৎ দেশীয় সম্পদ সিলেট গ্যাস ফিল্ডস-এর পেট্রোল বাজারে মজুত রয়েছে এবং দেশের যানবাহনগুলো ব্যবহার করছে। যেহেতু সিলেট গ্যাস ফিল্ডস একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। এ কারণে প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য ক্রয় করলে সরকার ও দেশ লাভবান হবে। অথচ কার স্বার্থে বিদেশ থেকে পেট্রোল সরবরাহ করা হচ্ছে সেটা বোধগম্য নয়। প্রয়োজনে বিএসটিআই’র মানের পেট্রোল উৎপাদনের জন্য গ্যাস ফিল্ডসকে বাস্তবসম্মত প্রয়োজনীয় সময় দেয়া উচিত। যাতে করে সরকারের বিশাল অর্থে নির্মিত সিলেট গ্যাস ফিল্ডস রিফাইনারিগুলো চালু রাখা সম্ভব হয়। বিপিসি পণ্য ক্রয় না করলে রিফাইনারিগুলোর কাঁচামাল এবং উৎপাদিত পণ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। সেই সঙ্গে ট্যাংকলরির মালিকদের লগ্নীকৃত অর্থ ক্ষতির সম্মুখীন হবে।  নেতৃবৃন্দ বিপিসিকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেনÑ পূর্বের অবস্থায় ফিরে না গেলে ওনার্স এসোসিয়েশন কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। সভায় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটরস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেটের বিভাগীয় সহ-সভাপতি আবু সুলতান মোহাম্মদ ইদ্রিছ, বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগের সভাপতি হুমায়ুন আহমদ, সহ-সভাপতি খান মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ নুরুল ওয়াছে আলতাফী, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটরস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেটের বিভাগীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মো. ফয়জুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ সিরাজুল হোসেন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আখতার ফারুক লিটন প্রমুখ। এ ছাড়া যৌথ সভায় তিনটি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us